বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার অনেক পরিবারের আয়ের উৎস পানচাষ। এবারের বর্ষায় বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ডুবে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পানের বরজ বিনষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের দাবি, আদিকাল হতে এখানে মিষ্টি পানের চাষ হচ্ছে। ১০ বছরের ব্যবধানে পানচাষ সম্পৃক্ত পরিবারগুলো সুখি পরিবারে পরিণত হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও কৃষকরা হচ্ছে স্বাবলম্বি। এমন মুহূর্তে এ বছর অতিবৃষ্টির প্রভাবে খালবিলের পানি নিষ্কাশন না হতে পেরে প্রায় ৩০ শতাংশ পানবরজ ডুবে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়েছে।
উপজেলা কৃষিবিভাগের তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, এখানকার পান চাষের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার হেক্টর।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার, রসুলপুর,খয়রা, কোয়ালীপাড়া, নুরপুর, জামগ্রাম এলাকাসহ সব স্থানেই পানচাষ হয়ে থাকে। এখানকার কৃষকদের আয়ের প্রধান উৎস এখন পান। এখানকার পান বিক্রির জন্য প্রতিদিন নিয়মিত চলছে সপ্তাহে ৫ দিন আড়ৎ এবং দুইদিন সোমবার এবং শুক্রবার হাট। নানা প্রতিকূলতার মাঝে কৃষকরা হচ্ছে স্বাবলম্বি সরকার পাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। চলতি বছরে করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই অনেক কৃষকদের স্বপ্ন ম্লান করে দিয়েছে এবারের বৃষ্ট ও বন্যা। দফায় দফায় বন্যা ও জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে শত শত পান বরজ। এর ফলে অনেক কৃষকের পুরো বরজ নষ্ট হওয়ার ফলে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।
জামগ্রাম গ্রামের পানচাষি মোঃ রাজু বলেন, আমার প্রায় ১৫ কাঠা জমির পান বরজ সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। এটি ছিল আমার আয়ের এক মাত্র উৎস।
কোয়ালীপাড়া গ্রামের জিল্লু রহমান বলেন, আমার প্রায় ১০ কাটা জমিতে পান বরজ ছিল। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন সংসার নিয়ে চরম হতাশাগ্রস্ত।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১০ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.